মাগুরা জেলার বিখ্যাত স্থানসমূহ (জেনে নিন ১মিনিটে)
মাগুরা জেলার ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ পর্যটক জানতে চান, কেননা
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জেলা হচ্ছে মাগুড়া। এই আর্টিকেলটির
মাধ্যমে মাগুরা জেলার ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে নিচে জেনে নিতে পারবেন।
মাগুরা জেলার ঐতিহাসিক স্থান গুলো দেখার জন্য আপনারা যারা যেতে চাচ্ছেন, কিভাবে
যাবেন এবং স্থান গুলোর নাম কি সেগুলো সম্পর্কে এই পোস্টের মাধ্যমে আশা করি খুব
সহজেই জেনে নিতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ মাগুরা জেলার বিখ্যাত স্থানসমূহ জানতে পড়ুন
মাগুরা জেলার বিখ্যাত স্থানসমূহ
মাগুরা জেলার বিখ্যাত স্থান সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করে
থাকেন। আশা করি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা জেনে নিতে পারবেন, তবে
শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়তে হবে। মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
রয়েছে প্রাচীন জমিদার বাড়ি, মঠ,মন্দির এবং ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো। যা ইতিহাস
সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বহন করে থাকে। চলুন আর দেরি না করে মাগুরা জেলার দর্শনীয়
বিখ্যাত স্থানগুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নেওয়া যাক।
রাজা সীতারামের রাজপ্রাসাদ
রাজা সীতারামের রাজপ্রাসাদের অবস্থান মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর সদর উপজেলায়। যেটি
মাগুরা সদর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আধা
কিলোমিটার উত্তর পাশে এটি অবস্থিত, আপনারা চাইলে রিক্সা ভ্যান কিংবা হেঁটে যেতে
পারেন। এটি মাগুরা জেলার অন্যতম একটি ঐতিহাসিক স্থান একসময়ের শক্তিশালী জমিদার
সীতারামের রাজত্বর সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে।
সিদ্ধেশ্বরী মঠ
সিদ্ধেশ্বরী মঠের অবস্থান আঠারখাদা মাগুরা সদরে। এটি মূলত মাগুরা শহর থেকে তিন
কিলোমিটার উত্তরে নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। আপনারা চাইলে টেম্পু রিক্সা কিংবা
ভ্যানযোগে সেখানে যেতে পারেন। সিদ্ধেশ্বরী মঠ হচ্ছে ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা
যা বহুকাল ধরে ভক্তদের কাছে একটি তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত রয়েছে।
সিরিজদিয়া বাওড়
মাগুরা জেলার অন্যতম একটি স্থান হচ্ছে সিরিজদিয়া বাওড়। আপনারা এই সিরিজদিয়া
বাওড়ে যেতে চাইলে মাগুরা ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড থেকে আলোকদিয়া পর্যন্ত যেতে
পারবেন, এরপরে ১০ কিমি ভ্যানযোগে যোগে যেতে হবে। এটি প্রাকৃতিক জলাভূমি যা
প্রতিটি পর্যটককে আকর্ষণ করে।
শ্রীপুর জমিদার বাড়ি
শ্রীপুর জমিদার বাড়ি মাগুরা জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে শ্রীপুর উপজেলায়
অবস্থিত। মাগুরা থেকে আপনারা বাসযোগে শ্রীপুর স্ট্যান্ডে নেমে এক কিলোমিটার দূরে
গেলেই এই বাড়িটি দেখতে পাবেন। এটি একসম শ্রীপুর জমিদারের অভিজাত বাসভবন ছিল যা
এখনো ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসাবে রয়েছে।
হযরত পীর মোকাররম আলী শাহ (র) দরগাহ
হযরত পীর মোকাররম আলী (র) এর দরগা মাগুরা জেলা শহর থেকে সাত কিলোমিটার পশ্চিমে
এবং মাগুরা ও ঝিনাইদহ বিশ্ব রোডের ডান পাশে নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। আপনারা
টেম্পু কিংবা বাসযোগে সেখানে যেতে পারেন। মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র ধর্মস্থান
যেখানে প্রতিবছর অসংখ্য ও ভক্ত ও সমাগম হয়ে থাকে।
মদনমোহন মন্দির
মদনমোহন মন্দিরটি মাগুরা এবং নড়াইল সড়কের প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব
কোণে নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। আপনারা চাইলে বাস কিংবা টেম্পুযোগে সেখানে যেতে
পারেন। এটি হচ্ছে সবচেয়ে পুরাতন একটি হিন্দু মন্দির ঐতিহাসিক স্পাপনা এবং
স্থাপত্য শিল্পের অন্যান্য একটি নিদর্শন বহন করে।
ভাতের ভিটা
ভাতের ভিটাটি মাগুরা জেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে মঘি ইউনিয়নের ফটকি নদীর
তীরে অবস্থিত। স্থানটিতে আপনারা যশোর মাগুরায় সড়ক থেকে বাস কিংবা ভ্যানযোগে
যেতে পারবেন। ভাতের ভিটা একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন যা প্রাচীনকাল থেকে মানুষের কাছে
জনপ্রিয়।
নেংটা বাবার আশ্রম
নেংটা বাবার আশ্রাম টি অবস্থিত মাগুরা জেলা শহর থেকে এক কিলোমিটার পূর্বে নবগঙ্গা
নদীর তীরে। নেংটা বাবার আশ্রম মাগুরা জেলার অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় স্থান
এবং এটি স্থানীয়দের কাছে আধ্যাত্মিক শক্তির কেন্দ্রস্থলে হিসাবেও খুবই পরিচিত।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই জেনে নিতে পারলেন
মাগুরা জেলার বিখ্যাত স্থান সম্পর্কে। আজকের পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে এবং এ
ধরনের আরো পোস্ট জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url