আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম ২০২৫
আপনি যদি কাজের ভিসায় বিদেশে যেতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিএমইটি
(BMET) কার্ড থাকা আবশ্যক। আপনি বিএমইটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু
কিভাবে ডাউনলোড করবেন বুঝতে পারছেন না। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিচে আমি প্রবাসী
বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম জেনে নিতে পারেন।
কাজের ভিসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিএমইটি কার্ড আপনার লাগবেই। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক, বিএমইটি কার্ড কি? বিএমইটি কার্ড করতে কি কি লাগে, বিএমইটি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কি এবং আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড ইত্যাদি সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম ২০২৫ জানতে পড়ুন
- বিএমইটি (BMET) কার্ড কি ২০২৫
- বিএমইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা ২০২৫
- বিএমইটি (BMET) কার্ড করতে কি কি লাগে ২০২৫
- আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম ২০২৫
- ধাপ ১ঃ আপনাকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে
- ধাপ ২ঃ আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ক্যাপচা পূরণ করতে হবে
- ধাপ ৩ঃ বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- বিএমইটি কার্ড করতে কত টাকা লাগে ২০২৫
- বিএমইটি কার্ড করতে কতদিন লাগে ২০২৫
- বিএমইটি ম্যানপাওয়ার কার্ড চেক ২০২৫
বিএমইটি (BMET) কার্ড কি ২০২৫
বিএমইডি কার্ড কি? যারা বিদেশে যেতে চাচ্ছেন সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায়
অধিকাংশ মানুষ গুগলে অনুসন্ধান করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়লে বিএমইটি কার্ড কি এবং আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড
করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। বিএমইটি (BMET) শব্দটির ইংরেজী
পূর্ণরুপ হচ্ছে Bureau of Manpower Employment and Training
অর্থাৎ বাংলায় অর্থ দাঁড়ায় জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো। বিএমইটি ১৯৭৬
প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জনশক্তি উন্নয়নের জন্য। বিএমইটির মূল
উদ্দেশ্য হচ্ছে যেসব প্রবাসগামী শ্রমিক রয়েছেন তাদের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত
বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য সহযোগিতা করা।
বিএমইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে যে সকল নাগরিক অন্য কোন দেশে যেতে চায় সেক্ষেত্রে
BMET কার্ড একটি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস। যারা মূলত দেশের বাহিরে কাজের
উদ্দেশ্যে যাবেন তাদের এই কার্ডটি আবশ্যিক লাগবে। বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন
প্রয়োজনে বিএমইটি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। কি কি প্রয়োজনীয়তা
রয়েছে আপনাদের জানাই সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
- বিদেশে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে কিংবা চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে কিংবা মৃত ব্যক্তির লাশ দেশে আনার জন্য এই কার্ডের প্রয়োজনীয়তা রযেছে।
- বিএমইটি কার্ডটি প্রবাসী কর্মীদের তথ্য হালনাগাদ করার জন্য প্রয়োজন পরে।
- প্রবাসগামী কর্মীদের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজন পরে।
- TTC গ্রহণের ক্ষেত্রে বিএমইটি কার্ডটির প্রয়োজন পরে।
- ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডটি পাওয়ার জন্য বিএমইটি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বিএমইটি (BMET) কার্ড করতে কি কি লাগে ২০২৫
বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা যদি বিএমইটি (BMET) কার্ডটি রেজিস্ট্রেশন
সম্পন্ন করা না থাকে, সেক্ষেত্রে BMET CART রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে হবে।
বিএমইটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্ট লাগবে যেগুলো নিচে
উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে। চলুন তাহলে নিচে জেনে নেওয়া যাক।
- আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আপনার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ এবং সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়সের নাগরিকরা আবেদন করতে পারবেন।
- আপনাকে শারীরিকভাবে কর্মঠ হতে হবে।
- আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ ( কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেট লাগবে।
আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম ২০২৫
আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য প্রায়
অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। কিন্তু কিভাবে ডাউনলোড
করবেন সঠিক তথ্যটি পান না যা আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। আপনি
ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে কিংবা কম্পিউটারের সাহায্যে
ডাউনলোড
করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে amiprobashi.com ওয়েবসাইটে
Home পেজের মেনুবারের সার্চ বারে গিয়ে Clearance Card অফশনটিতে
ক্লিক করে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং ক্যাপচাটি সঠিকভাবে পূরণ করে সার্চ করতে
হবে। তাহলে খুব সহজেই আপনি আপনার বিএমইটি (BMET) কার্ডটি দেখতে পাবেন এবং
সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনাদের জানার সুবিধার্থে আরো সহজ করে আমি প্রবাসী বিএমইটি (BMET) কার্ড
ডাউনলোড করার নিয়ম ধাপে ধাপে কিভাবে করবেন নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।মনোযোগ
সহকারে দেখতে থাকুন আশা করি সহজেই বুঝতে পারবেন।
ধাপ ১ঃ আপনাকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে
- বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
- এরপর যেকোনো একটি ডিভাইস থেকে ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ বারে গিয়ে amiprobashi.com লিখে সার্চ করতে হবে। তারপর আপনি এই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করুন এখন নিচের মত একটি পেজ দেখতে পাবেন।
- তারপর আপনাকে মেনুবার থেকে ক্লিযারেন্স কার্ড অফশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ২ঃ আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ক্যাপচা পূরণ করতে হবে
- ক্লিয়ারেন্স কার্ড অফশনটিতে ক্লিক করার পর আপনার সামনে নতুন একটি পেজ আসবে। সেখানে আপনি চারটি বক্স দেখতে পাবেন এবং সেখান থেকে Get Smart Clearance Card লেখা বক্সটিতে সিলেক্ট করে দিতে হবে।
- এরপর পেজে আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং ক্যাপচাটি সঠিকভাবে পূরণ করে সার্চ অফশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
- আপনার বিএমইটি কার্ডটি প্রস্তুত হয়ে গেলে সেটি সহজেই নিচে দেখতে পাবেন।
ধাপ ৩ঃ বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
সর্বশেষে বিএমিটি কার্ড ডাউনলোড করার পালা। আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি এবং
ক্যাপচাটব দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করে সার্চ করার পর স্কল করে পেজের নিচের দিকে গেলে
আপনার বিএমইটি (BMET) কার্ডটি দেখতে পাবেন। এরপর সেই কার্ডটি পিডিএফ
(PDF) আকারে ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। এর ফলে যে কোন সময় প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে
পারবেন। এভাবে উপরে উল্লেখিত নিয়ম গুলো ফলো করে আপনি ঘরে বসেই মাত্র কয়েক
মিনিটের মাধ্যমে বিএমইটি কার্ডটি ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন।
বিএমইটি কার্ড করতে কত টাকা লাগে ২০২৫
বিএমইটি কার্ড করতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে প্রায় অনেকেই ধারণা রাখেন না। যার
ফলে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। কোন সমস্যা নেই আপনি সঠিক জায়গাতেই
এসেছেন। আপনি যদি নিজে নিজেই ঘরে বসে আবেদন করতে পারেন তাহলে বিএমইটি কার্ড করার
জন্য আপনার খরচ হতে পারে ৩০০ টাকার মতো। তবে বিএমইটি নির্দিষ্ট ফি আপনার এলাকার
অফিসের উপর নির্ভর করে কিছুটা ভিন্ন হতেও পারে। ফি সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি জানার
জন্য বিএমটি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা উচিত।
বিএমইটি কার্ড করতে কতদিন লাগে ২০২৫
বিএমইটি কার্ড করতে কতদিন সময় লাগে সে সম্পর্কে জানতে এই পোষ্টের মাধ্যমে সহজেই
নিচে জেনে নিতে পারেন। বিএমইটি (BMET) কার্ড করতে সাধারণত সময় লাগে তিন থেকে সাত
কর্ম দিবস। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে স্থানীয় অফিসের কার্যক্ষমতা এবং কাজের
চাপের উপরে। কোন কোন সময় দেখা যায় ১০ কার্য দিবস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
আমি প্রবাসী অ্যাপস থেকে কিংবা বিএমইটি ওয়েবসাইট থেকে সহজেই স্ট্যাটাস পরীক্ষা
করতে পারেন।
বিএমইটি ম্যানপাওয়ার কার্ড চেক ২০২৫
বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষের জন্য ম্যানপাওয়ার কার্ড তৈরি করতে হয়।
ম্যানপাওয়ার কার্ডটি তৈরির জন্য আপনি যদি সকল প্রকার কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকেন
তাহলে আপনার কাজ হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে ম্যানপাওয়ার কার্ডটি চেক করা। আপনারা
চাইলে নিজে নিজেই ম্যানপাওয়ার কার্ডটি চেক করতে পারবেন সেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত
পদক্ষেপগুলো নিতে হবে।
- বিএমইটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে
- এরপর ম্যানপাওয়ার কার্ড চেক ট্যাবে ক্লিক করতে হবে।
- তারপর আপনার পাসপোর্ট নাম্বরটি এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে।
- চেক অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি এবং জন্ম তারিখে যদি সঠিক হয় তাহলে ম্যাপের তথ্য দেখতে
পাবেন। যে তথ্যগুলো দেখতে পাবেন সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
- আপনার নাম
- আপনার জন্ম তারিখ
- আপনি পাসপোর্ট নাম্বার
- আপনার কাজের শ্রেণি
- আপনার ম্যানপাওয়ার কার্ডের বর্তমান অবস্থা
ম্যানপাওয়ার কার্ড প্রস্তুত হলে আপনি বিএমইটি অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন কিংবা
আমি প্রবাসী অ্যাপ এর মাধ্যমে ডাউনলোড করেও নিতে পারেন। আপনার ম্যানপাওয়ার
কার্ডটি বাতিল হলে বিএমইটি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে এবং তার কারণ জানতে হবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আপনারা যারা আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে না।
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিএমইটি কি, বিএমইটির প্রয়োজনীয়তা এবং কিভাবে সহজেই
ডাউনলোড করতে পারেন সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আপনারা যারা প্রবাসে যেতে চাচ্ছেন
অবশ্যই কার্ডটি প্রয়োজন পড়বে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। তবে বুঝতে
কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url