ইউরোপের সেনজেনভুক্ত এবং নন-সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত এবং নন-সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা সম্পর্কে আপনি কি জানতে
চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত পড়লে, সেনজেনভক্ত ও ননসেনজেনভুক্ত দেশের সুবিধা কি জানতে পারবেন।
ইউরোপে পড়াশোনা এবং কাজের উদ্দেশ্যে মহাদেশটির সেনজেনভুক্ত এবং নন সেনজনভুক্ত
দেশের তালিকা দেখে যেতে পারবেন। সেনজেনভুক্ত এবং ননসেনজেনভুক্ত দেশগুলোর ভেতরে
সুযোগ সুবিধার অনেক পার্থক্য রয়েছে।বিস্তারিত জানতে নিচে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ইউরোপের সেনজেনভুক্ত এবং নন-সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা জানতে পড়ুন
সেনজেনভুক্ত এবং নন-সেনজেনভুক্ত দেশ বলতে কি বোঝায় জেনে নিন
সেনজেনভুক্ত দেশ বলতে সাধারণত ইউরোপ মহাদেশের ৫০টি দেশের ভিতরে ২৮টি দেশকে বোঝানো
হয়ে থাকে। এই ২৮টি দেশ মূলত স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ সকল ২৮টি দেশের
রয়েছে নিজস্ব ভাষা, মুদ্রা এবং তাদের রাজধানী। ভিসা পলিসির ক্ষেত্রে এসব দেশগুলো
একই ধরনের নীতি অবলম্বন করে থাকে বলে, এদেরকে একত্রে সেনজেনভুক্ত দেশ বলা হয়ে
থাকে। এসব দেশগুলোর সাধারণ সেনজেননভিসা নীতি অনুসরণ করে থাকে।
সেনজেন অঞ্চলটি ইউরোপীয় দেশ নিয়ে গঠিত হওয়ার ফলে, সেখানে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ
ছাড়াই অবাধে ঘোরাফেরা এবং মুক্তভাবে ভ্রমন করা যায়। সেনজেন চুক্তিটি মূলত ১৯৮৫
সালের সংঘের স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং কার্যকর হয়েছিল ১৯৯৫ সালে।সেনজেনভুক্ত নয় এমন দেশকে সাধারণত নন সেনজেনভুক্ত দেশ বলা হয়ে থাকে। এমন দেশের
সংখ্যা রয়েছে মোট ২২টি।
নন সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে সেনজেনভুক্ত দেশের মতো ভিসা নীতি নয়। আপনার ননসেনজেনভুক্ত দেশের ভিসা থাকলে, আপনি সেনজেনভুক্ত
দেশের মতো অন্য কোনো দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ
ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে
দেওয়া হলো।
| ক্রমিক নং | সেনজেনভুক্ত দেশের নাম |
|---|---|
| ০১ | ফ্রান্স |
| ০২ | জার্মানি |
| ০৩ | গ্রীস |
| ০৪ | ডেনমার্ক |
| ০৫ | এস্তোনিয়া |
| ০৬ | ফিনল্যান্ড |
| ০৭ | চেক রিপাবলিক |
| ০৮ | বেলজিয়াম |
| ০৯ | অস্ট্রিয়া |
| ১০ | হাঙ্গেরি |
| ১১ | ইতালি |
| ১২ | আইসল্যান্ড |
| ১৩ | লিশটেনস্টাইন |
| ১৪ | লাটভিয়া |
| ১৫ | লিথুনিয়া |
| ১৬ | লুক্সেমবার্গ |
| ১৭ | মাল্টা |
| ১৮ | নেদারল্যান্ড |
| ১৯ | নরওয়ে |
| ২০ | পোল্যান্ড |
| ২১ | পর্তুগাল |
| ২২ | স্লোভেকিয়া |
| ২৩ | স্লোভেনিয়া |
| ২৪ | স্পেন |
| ২৫ | সুইডেন |
| ২৬ | সুইজারল্যান্ড |
| ২৭ | রোমানিয়া |
| ২৮ | বুলগেরিয়া |
নন-সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা
নন-সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অনেকে প্রবাসাগামী আগ্রহ
প্রকাশ করেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
| ক্রমিক নং | নন-সেনজেনভুক্ত দেশের নাম |
|---|---|
| ০১ | আলবেনিয়া |
| ০২ | আর্মেনিয়া |
| ০৩ | আজারবাইজান |
| ০৪ | আন্দোরা |
| ০৫ | বেলারুশ |
| ০৬ | বসনিয়া |
| ০৭ | হার্জেগোভিনা |
| ০৮ | টুর্কি |
| ০৯ | সাইপ্রাস |
| ১০ | জর্জিয়া |
| ১১ | ক্রোয়েশিয়া |
| ১২ | কসোভো |
| ১৩ | ম্যাসেডোনিয়া |
| ১৪ | মলদোভা |
| ১৫ | মন্টিনিগ্রো |
| ১৬ | ইউক্রেন |
| ১৭ | রাশিয়া |
| ১৮ | সার্বিয়া |
সেনজেনভুক্ত দেশের সুবিধা কি জানুন
সেনজেনভুক্ত দেশের সুবিধা কি সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অনেকেই গুগলে সার্চ
করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে সেনজেনভুক্ত দেশের সুবিধা কি সেগুলো
নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
এক ভিসায় ২৭টি দেশ ভ্রমণঃ আপনার যদি সেনজেন ভিসা থাকে, তাহলে আপনি
সেনজেনভুক্ত ২৬টি দেশে ৯০ দিন পর্যন্ত এক ভিসাতেই ভ্রমণ করতে পারবেন।
সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের ঝামেলা কমঃ আপনি যদি একবার সেনজেন ভিসা পেয়ে যান,
তবে সেনজেনভুক্ত যে কোনো দেশে মধ্য অর্থাৎ এক দেশ থেকে অন্য দেশে সহজেই যেতে
পারবেন কোন পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ লাগবে না।
দীর্ঘ সময় ভ্রমণের সুযোগঃ সেনজেন ভিসার মাধ্যমে আপনি এক দেশ থেকে অন্য
দেশে ৯০ দিন ভ্রমণ করতে পারবেন, এটি আপনার জন্য বৈধ। যা দীর্ঘসময় ভ্রমণের জন্যই
যথেষ্ট বলে মনে করি।
কাজের সুযোগঃ আপনার কাছে যদি সেনজেন ভিসা থাকে তাহলে সেনজেনভুক্ত যে কোন
দেশে গিয়ে কাজ করতে পারবেন।
বসবাসের সুযোগঃ আপনার কাছে যদি সেনজেন ভিসা থাকে, তাহলে যে কোন এলাকায়
অর্থাৎ যে কোন দেশে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সহজেই আবেদন করতে পারবেন।
স্বাস্থ্যসেবাঃ আপনার যদি সেনজেন ভিসা থাকে, তাহলে সেনজেনভুক্ত যে কোন
দেশের জরুরি সেবা আপনি নিতে পারবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য - ইউরোপের সেনজেনভুক্ত এবং নন-সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা সম্পর্কে
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, সেনজেনভুক্ত এবং নন-সেনজেনভুক্ত দেশ
বলতে কি বোঝায়, সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা, নন-সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা এবং
সেনজেনভুক্ত দেশের সুবিধা কি ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন।
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশের একটি ভিসা আপনার
জন্য অবর্ণনীয় সুযোগ। মাত্র একটি সেনজেন ভিসার মাধ্যমে আপনি ২৭টি দেশে ভ্রমণ করতে
পারবেন এবং জরুরী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারবেন। আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে
শেয়ার করে দিতে পারেন।


মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url