সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় ২০২৫

আপনি কি সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় এবং দক্ষিণ কোরিয়া লটারি আবেদন ও যেতে কি কি লাগে সেগুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির একটি দেশ। তাই প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ কোরিয়াতে যাচ্ছে। যাবতীয় তথ্য জানতে নিচে পড়ুন।
দক্ষিণ কোরিয়া উন্নত প্রযুক্তির একটি দেশ। দক্ষিণ কোরিয়া অন্যান্য দেশের চেয়ে প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে।সেজন্য দেশটিতে কাজের চাহিদা ও সুযোগ সুবিধা বেশি। তাই আপনি যদি দ.কোরিয়াতে যেতে পারেন উচ্চ বেতনে কাজ করতে পারবেন। নিচে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় জানতে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় জানতে পড়ুন

দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কের জানুন

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় এবং দ.কোরিয়া  লটারি আবেদন সম্পর্কে জানা কোরিয়া প্রবাসগামী ভাইদের জন্য খুবই জরুরী। দক্ষিণ কোরিয়া শিক্ষাগত দিক দিয়ে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় প্রতিটি কাজেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে, অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় এতে অল্প পরিশ্রমে 

ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়।প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার তরুণ কাজের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার পাড়ি দিতে চাচ্ছে। শুধু কাজের উদ্দেশ্যই নয়, অনেকে উচ্চশিক্ষার জন্য এবং অনেকে ভ্রমণ করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চাচ্ছে। বর্তমানে আপনি সরকারি এবং বেসরকারিভাবে যদি দক্ষিণ কইরা যেতে চান, তবে যেতে পারবেন। 

কিন্তু আপনি যদি বেসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায়, বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, তাহলে আপনার খরচের পরিমাণ একটু বেশি পড়বে। তবে আপনি যদি সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে পারেন, তাহলে আপনার খরচের পরিমাণ স্বল্প পরিমাণ হবে। কিন্তু সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে হলে, আপনাকে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার উপায় জানতে হবে। 

কেননা সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা পাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।  সেজন্য সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা আবেদন করার আগে 

আপনাকে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। প্রিয় পাঠক তাই আজকে আমরা এই পোস্টে আপনাদের মাঝে। কিভাবে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায় তার উপায়গুলো তুলে ধরবো সাথেই থাকুন। 

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় ২০২৫ 

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ প্রবাসগামী মানুষ গুগলে অনুসন্ধাণ করে থাকেন। বর্তমানে হাজার হাজার তরুণ কাজের উদ্দেশ্যে উন্নত প্রযুক্তির দেশ দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চান। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানেনা সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। সেজন্য আজকে আমরা এই আর্টিকেলটির 

মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন কিভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে সরকারিভাবে যাওয়া যায় তার উপায়। দক্ষিণ কোরিয়া প্রতি বছরই বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে।দক্ষিণ কোরিয়া কাজের জন্য যে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়, আপনারা নিয়োগ গুলোর সার্কুলার দেখে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার  ভিসার জন্য সরকারিভাবে আবেদন 

করতে পারেন। এছাড়া আপনি এই https://probashi.portal.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রতিদিন দক্ষিণ কোরিয়া সহ আরো বিভিন্ন দেশের সরকারি ভিসা নিয়োগ এবং নোটিশ পাবলিশ করে থাকে সেগুলো খুব সহজেই দেখে নিতে পারেন। আপনারা কোনো এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবেও দক্ষিণ কোরিয়া ভিসার আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি বেসরকারিভাবে 

দক্ষিণ কোরিয়া ভিসার আবেদন করেন, তবে আপনার খরচের পরিমাণ একটু বেশি পরবে। তবে মাঝে মাঝে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সরকারিভাবে ফ্রি ভিসা পাওয়া যায় যেগুলো একজন মানুষের কাছে স্বপ্নের মত। শুধুমাত্র আপনার পাসপোর্ট খরচ,বিমান ভাড়া এবং অন্যান্যসকল যাবতীয় খরচ গুলো নিজেদের বহন করতে হয়ে থাকে। তবে প্রিয় পাঠক, আপনারা যদি 

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাবার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ভিসার আবেদন করতে হবে আপনাকে। এজন্য উপরে যে উল্লেখিত ওয়েবসাইট আছে, সেটাতে প্রবেশ করে নোটিশ দেখে নিতে হবে। নোটিশ দেখার পর ভিসা আবেদনে জন্য,আপনার যাবতীয় সব ধরনের কাগজপত্র দিয়ে ভিসা আবেদনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়াও আপনি স্কলারশিপের মাধ্যমে ফ্রিতে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। নিচে দ.কোরিয়া  লটারি আবেদন সম্পর্কে জানতে পড়ুন।

দক্ষিণ কোরিয়া নিয়ে কিছু তথ্য

  • দেশের নামঃ দক্ষিণ কোরিয়া
  • দেশের আয়তনঃ ১০০,২১০ বর্গ কি.মি
  • দেশের মোট জনসংখ্যাঃ ৫১.৬৩ মিলিয়ন
  • ভাষাঃ কোরিয়ান 

দক্ষিণ কোরিয়া লটারির আবেদন 

Boesl: https://boesl.gov.bd/

দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য আপনি যদি লটারিতে আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সরকারি ওয়েবসাইট বোয়েসেল থেকে আবেদন করতে পারেন। একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়া লটারির জন্য আবেদন করার টাইম কিন্তু খুবই কম থাকে। উদাহরণস্বরুপ- আমরা সাধারণ জবের জন্য দুই থেকে তিন মাস ধরে আবেদন করতে পারি কিন্তু 

দক্ষিণ কোরিয়ার লটারির আবেদনের জন্য এমন হবে না। এখানে আপনি সময় পাবেন মাত্র ১-২ দিনের মধ্যেই আপনাকে আবেদন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ ধরুন জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ আবেদন শুরু হলো ১১ তারিখের পরই আবেদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই সকল নোটিস পেতে কাজ করতে পারেন সেগুলো আপনাদের সুবিধার্থে উল্লেখ করা হলো। 

  • নিয়মিতভাবে বোয়েসেল এর ওয়েবসাইট ওপেন করে দেখা 
  • বোয়েসেলের ফেসবুক পেজ ফলো করে দেখা 
  • কোরিয়া ও বোয়েসেল রিলেটেড কিছু একটিভ ফেসবুক গ্রুপে জয়েন থাকা
  • করেও বোয়েসেল রিলেটেড কিছু অ্যাক্টিভ চ্যানেল ফলো করা 
  • আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার সব চ্যানেল ও পেজ এর নোটিফিকেশন ওয়ান করে রাখতে হবে। 
  • সব সময় বোয়েসেল এর নোটিশ ফলো করবেন
  • আপনার মত যারা আগ্রহী তাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন

লটারি ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

দক্ষিণ কোরিয়াতে আপনি সরকারি কিংবা বেসরকারি যেভাবে যান না কেন, সেখানকার অবশ্যই আপনাকে ভাষা জানতে হবে। লটারি ছাড়া আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়াতে  যেতে চান, তবে আপনাকে দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা জেনে তারপর ভিসার জন্য আবেদন করাই ভালো। লটারি ছাড়া যদি দক্ষিণ করিতে যেতে চান তবে নিচের স্টেপ গুলি অবশ্যই আপনাকে অনুসরণ  করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক লটারি দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়। 

  • প্রথমে আপনাকে অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা লিখতে, বলতে, বুঝতে এবং জানতে হবে। 
  • দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার মান অবশ্যই এইচএসসি বা সম্মান হতে হবে 
  • অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন ফ্রিজ জমা দিতে হবে 
  • আপনি দক্ষিণ গোড়াতে যাওয়ার জন্য ফিট কিনা তার জন্য টেস্ট নেওয়া হবে এবং পরীক্ষাগুলোতে আপনাকে পাশ করতে হবে। 
  • এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা ফরম জমা দিতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য আপনি অনুমোদন পেয়েছেন কিনা দেশটির সরকার থেকে অনুমতি প্রাপ্ত হতে হবে। 
  • বোয়েসেল কর্তৃক যে ট্রেনিং এর আয়োজন করা হয় অবশ্য অংশগ্রহণ করতে হবে 
  • আপনার সমস্ত স্কিল যদি তাদের কাছে আশানুরূপ হয় তবে আপনি দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রাপ্ত হবেন

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার ভিসাসমূহ 

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ থেকে আপনারা যারা সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে চাচ্ছেন তাদের মধ্যে প্রায় অধিকাংশই দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য কোন কোন ভিসা রয়েছে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান। আপনি বেসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে যে ভিসায় যেতে পারবেন,

কিন্তু সরকারিভাবে সে ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারবেন না। প্রতি বছরই দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সরকারিভাবে বিভিন্ন ভিসায় লোক নেওয়ার জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েক ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায় সরকারিভাবে। এবং যার যে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেই কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করে।

তাই এখন আপনাদেরকে জানাবো, সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য  কোন কোন ভিসাগুলো রয়েছে।

  • স্টুডেন্ট ভিসা 
  • কোম্পানি ভিসা 
  • কাজের ভিসা 
  • কৃষি ভিসা 
  • লেবার ও শ্রমিক ভিসা 
  • সামাজিক কর্মকর্তা ভিসা ইত্যাদি 

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে 

আপনি যদি সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চান, তবে অবশ্যই আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুলো লাগবে। অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছে, অথচ সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কিভাবে ভিসার আবেদন করতে হয়, কি কি কাগজপত্র লাগে সেগুলো সম্পর্কে জানা নেই। সাধারণত যে কাগজপত্রগুলো না 

থাকলে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন না। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র গুলো লাগে জেনে নিতে পারেন।   

  • সর্বনিম্ন এসএসসি পাস সার্টিফিকেট
  • সর্বনিম্ন বয়স ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়স হতে হবে
  • মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট থাকতে হবে 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে 
  • বিভিন্ন রং বোঝার সক্ষমতা থাকতে হবে 
  • দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে 
  • ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে ফি পরিশোধ করতে হবে ইত্যাদি 

সরকারিভাবে  দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা নিয়োগ 

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার প্রতি বছরই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সরকারিভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তবে ২০২৫ সালের শুরুতে কোন কাজের প্রকল্প শুরু হয়নি বলে এজন্য আপাতত এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ প্রকাশ করেনি। তবে বছর শুরু হওয়ার পরপরই, দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন ধরনের কাজ শুরু হয়। 

এবং কাজের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা কম থাকে। তাই শ্রমিকের সংখ্যা কম থাকার জন্য, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তখন বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আর আপনারা তখন সার্কুলার অর্থাৎ নিয়োগের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করে,খুব অল্প পরিমাণ টাকায় দক্ষিণ কোরিয়াতে পৌঁছে যেতে পারবেন। আপনি যদি সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার নিয়োগ 

২০২৫ সালের আপডেট জানতে চান তাহলে এই https://probashi.portal.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সকল আপডেট যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন।

দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে 

দক্ষিণ কোরিয়া হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির একটি দেশ। দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগবে সেটা সম্পর্ণ   নির্ভর করবে মূলত বিভিন্ন বিষয়ের উপর। উদাহরণস্বরুপ দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার ভিসা ক্যাটাগরি, ভিসার মেয়াদ, নিজের  অবস্থান এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার খরচ কেমন হতে পারে সেটা নির্ভর করবে। নিচে আমরা ভিসা ক্যাটাগরি দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগতে পারে সে বিষয়ে 

আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো। দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় আপনি যদি যেতে চান তবে লটারির কোনো প্রয়োজন পড়বে না। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে স্টুডেন্ট ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে পারবেন। দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার খরচ সাধারণত দুই ধরনের হয়। দক্ষিণ করেতে যাওয়ার পূর্ববর্তীর খরচ এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে

যাওয়ার  পরবর্তী খরচ। পূর্ববর্তী খরচ গুলোর মধ্যে রয়েছে পাসপোর্ট খরচ, ভাষা শেখা, কাজের উদ্দেশ্যে গেলে সেই স্কিল সার্টিফিকেট অর্জন করা মেডিকেল রিপোর্ট করানো ভিসা আবেদন ফি ইত্যাদি খরচ গুলো। এবং গুলোর মধ্যে রয়েছে বিমানের ভাড়া, কোয়ান্টাম খরচ ইত্যাদি। দক্ষিণ কোরিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় খরচের পরিমাণ একটু কম হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে 

দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে আনুমানিক প্রায় ৩ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চান তবে দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা জানার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও দক্ষ থাকতে হবে। আপনি যদি কাজের দক্ষতা নিয়ে দক্ষিণ করে কোরিয়াতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কাজের সার্টিফিকেট এবং কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ থাকতে হবে। 

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে গেলে আপনার প্রায় খরচ হবে ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এই টাকার ভিতরেই সব ধরনের খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে যান তবে অবশ্যই লটারি বাধ্যতামূলক। বোয়েসেল ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া কাজের জন্য যাওয়ার আর কোনো মাধ্যম নেই। আপনাদের ব্যবসায়িক বিষয় দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চান তাহলে

আপনাকে ৫ লক্ষ ডলারের বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। আর এই  ভিসাগুলো সাধারণত ৯০ দিনের হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি চান ৯০ দিনের বেশিও করতে পারবেন। ব্যবসার ভিসা করার জন্য আপনার খরচ পড়বে প্রায় তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসাতে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চান তবে আপনার খরচ পড়বে দু থেকে চার লক্ষ টাকা। আপনি 

যদি দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চান তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে তথ্য নিবেন। দক্ষিণ কোরিয়াতে আপনার যদি, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, এবং পরিচিত কেউ থাকে। যারা  দক্ষিণ কোরিয়াতে রয়েছে এমন। তাদের কাছ থেকে আপনি সঠিক তথ্য নিতে পারেন। এছাড়া এজেন্সি থেকেও সঠিক তথ্য নিতে পারেন।

দক্ষিণ কোরিয়া বেতন কত জানুন

দক্ষিণ কোরিয়া যেহেতু উন্নত একটি দেশ সেক্ষেত্রে কাজের বেতন তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দেশের থেকে একটু বেশি হয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারিত রয়েছে। আপনারা যারা দেশটিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন, দেশটির সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তবে কাজের বেতন বিভিন্ন বিষয়ের উপরে নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন কাজের ধরণ, অভিজ্ঞতা দক্ষতা, লোকেশন ইত্যাদির উপরে। 

দক্ষিণ কোরিয়া যেসব কাজের চাহিদা বেশি

দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কোন কাজের চাহিদা গুলো বেশি রয়েছে সেই সম্পর্কে যদি আগে থেকেই ধারণা পেতে পারেন, তাহলে সেই কাজগুলো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারবেন। চলুন তাহলে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেসব কাজের চাহিদাগুলো বেশি সে সম্পর্কে নিচে জেনে নেওয়া যাক। 

  • কনস্ট্রাকশনের কাজ 
  • কৃষি শ্রমিকের কাজ 
  • ফ্যাক্টরি শ্রমিকের কাজ
  • ড্রাইভিং কাজ
  • প্লাম্বার কাজ ইত্যাদি

দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত বয়স লাগে?

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চান সেক্ষেত্রে বয়সের কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। কাজের ভিসা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চাইতে আপনার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৯ বছরের ভিতরে। এই বয়সের ভিতরের ব্যক্তিদের অবশ্যই পরীক্ষায় উত্তির্ন হতে হবে এবং শারীরিকভাবে ফিট হতে হবে তারপর দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে পারবেন। 

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত সময় লাগে?

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া বিমানে যেতে আপনারা সময় লাগবে প্রায় ৭ ঘন্টা থেকে ৮ ঘন্টা।    

লেখকের শেষ মন্তব্য - সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে

আজকের আলোচনাটির মাধ্যমে জানতে পারলেন যে,  সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়, কিভাবে আবেদন করতে হয়, সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কি কি ভিসাসমূহ রয়েছে ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে  পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। 

দক্ষিণ কোরিয়া দেশটি একটি উন্নত প্রযুক্তির দেশ। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বলে বিবেচিত। প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো কঠিন কাজ কে সহজ করে ফেলে এবং প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত মানুষ চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং গিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url