ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ১০টি তালিকা ২০২৫

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পর্কে প্রায় অধিকাং মানুষই চিনে থাকেন। আবার বর্তমান প্রজন্মে অনেকেই রয়েছেন যারা এই শিল্পগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন না বা চিনেন না। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে বাংলাদেশের ১০টি কুটির শিল্প সম্পর্কে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিচে জেনে নিতে পারবেন।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে অল্প পুঁজিতে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। তবে আপনাকে জানতে হবে, কোন শিল্পগুলো নিয়ে কাজ করলে অতি সহজেই ঘুরে দাড়াতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন বাংলাদেশের ১০টি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের তালিকা সম্পর্কে।   

পোস্ট সূচীপত্রঃ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প তালিকা জানতে পড়ুন

কুটির শিল্প  নিয়ে কিছু তথ্য

কুটির শিল্প বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যবাহী একটি শিল্প। আপনি যদি কুটির শিল্প গড়তে চান, তাহলে আপনার ১০-১৫ জনের বেশি কারিগর লাগবে না । ২০১০ শিল্পনীতিতে বলা হয়েছে, জমি এবং কারখানা ব্যতিরেখে স্থায়ী সম্পদ  সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ টাকা নিচে এবং পারিবারিক জনবল ৮-১০ এর অধিক নয় এমন শিল্পগুলোই হচ্ছে কুটির শিল্প। আপনারা অল্প পরিসরে কুটির শিল্প করতে পারেন।কেন না অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত কুটির শিল্পে বড় পুঁজি লাগেনা বলে সহজেই এই ব্যবসা করা যায়।

কুটির শিল্পের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস 

কুটির শিল্প মূলত শুরু হয় বিশ্ব-বিখ্যাত মুসলিম কাপর উৎপাদনের মধ্যে দিয়ে। মুঘল থেকে ব্রিটিশ যুগ পর্যন্ত সূতিবস্ত্র উৎপাদন ছিল মূলত এই অঞ্চলের কুটির শিল্প। যখন দেশ ভাগাভাগি হয়ে গেলো তখন থেকে কুটির শিল্পের আমদানি এবং রপ্তানি কমে গেলো। ১৯৫৭ সালে আইন পাশ করে এ শিল্পের নামকরণ হয়   পূর্ব  পাকিস্তান  ক্ষুদ্র ও  কুটির শিল্প সংস্থা।

পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের পর এই সংস্থার নাম করণ করা হয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প করপোরেশন।বাংলাদেশের কুটির শিল্পগুলো- বস্ত্রশিল্প,পাটজাত শিল্প,শীতলপাটি শিল্প,বাঁশ-বেত শিল্প,মৃৎ শিল্প,গহনা শিল্প,নকঁশি কাথা শিল্প,কাঁসা পিতলজাত শিল্প ইত্যাদি।

কুটির শিল্প কাকে বলে

কুটির শিল্প কাকে বলা হয়, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কুটির শিল্প কাকে বলে সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। কুটির শিল্প বলতে যদি সহজ করে বলা যায় তাহলে বলতে হবে, ছোটখাটো পরিসরে কোন দোকান বা কারখানা ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন কারখানাকে বোঝায়। কুটির শিল্পে সাধারণত 

পরিবারের সদস্যরা শ্রম দিয়ে থাকেন এবং পারিবারিক পরিবেশে বিদ্যুৎ ও ভালো যান্ত্র ব্যবহার না করে হাতের সাহায্যে দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করা হয়ে থাকে।

কুটির শিল্পের বৈশিষ্ট্য 

কুটির শিল্পের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আপনারা যারা ধারনা রাখেন না। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে সহজেই জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে নিচে জেনে নেওয়া যাক। 

  • কুটির শিল্প মূলত পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে থাকে অর্থাৎ পরিবারে সদস্যদের নিয়ে পরিচালিত হয়।
  • কুটির শিল্প গঠন করার জন্য বেশি মূলধনের প্রয়োজন পরে না।
  • কুটির শিল্প যেকোনো জায়গাতে স্থাপন করা যায় সাধারণত বেশি জায়গা লাগে না। 
  • কুটির শিল্পের আয়তন সাধারণত খুব ছোট পরিসরে হয়ে থাকে, সাধারণত পারিবারিক আঙ্গিনায় করা যায়।
  • কুটির শিল্পের পণ্য সামগ্রী উৎপাদনের জন্য স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, এর ফলে দেশের কাঁচামাল ও প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়ে থাকে। 

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পার্থক্য 

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে যা আপনারা নিচে জেনে নিতে পারবেন। 

কুটির শিল্পঃ

  • পরিবারের সদস্যদের দ্বারা অবসর সময়ে হাতের স্পর্শে স্থানীয় কাঁচা মালের সাহায্য পন্য পন্য উৎপাদন করাই হলো কুটির শিল্প।
  • কুটির শিল্পে বিনিয়োগ হিসাবে পাঁচ লাখ টাকার বেশি হয় না।
  • কুটির শিল্প হচ্ছে একটি পরিবার ভিত্তিক শিল্প 
  • কুটির শিল্পে খন্ডকালীন সময়ে পণ্য উৎপাদন করা যায় 

ক্ষুদ্র শিল্পঃ

  • যেসব প্রতিষ্ঠানের সাধারণত জমি কারখানা ব্যয় বাদে অন্যান্য স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয় হিসেবে দেড় কোটি টাকার বেশি নয় সেসব প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্র শিল্প বলা হয়। 
  • ক্ষুদ্র শিল্প হচ্ছে স্বল্প সংখ্যাক কর্মচারী নিয়ে এক মালিকানা বা সমবায়ের ভিত্তিতে গড়ে তোলা যায়। 
  • ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ কোটি টাকার উপরে নয়।
  • ক্ষুদ্র শিল্প পরিবারভিত্তিক নয় 
  • ক্ষুদ্র শিল্প সাধারণত বৃহৎ উৎপাদন ইউনিটের পর্যায়ে পডে থাকে।    

কুটির শিল্পের সাথে প্রকৃতির  সম্পর্ক

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মূলত প্রাকৃতিক উপাদান এবং দেশের উপস্থিত পরিবেশের সাথে একে অপরের পরিপূরক। তাছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বা থাকে। কুটির শিল্প পরিবেশ রক্ষায় দারুণ ভূমিকা পালন করে। নিচে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের তালিকা সম্পর্কে জানতে পড়ুন।

তাঁত শিল্প

বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির জন্য তা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁতশিল্প হলো কাপড় তৈরির প্রাচীন একটি শিল্প। তাঁত শিল্পে  তাঁতের ধাগা ব্যবহার করে মানুষের শরীরের  বস্ত্র, গামছা, তুশ পরিহিত বস্ত্রগুলো, নমীত কাপড়-চোপড় গুলো সাধারণত তৈরি করা হয় যার খুবই গুরুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য তাঁত শিল্প এখনো বড় ভূমিকা পালন করে আছে। তাঁতশিল্প বাংলাদেশের ১০টি ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের তালিকা মধ্য অন্যতম।কুটির শিল্পে সেলাই শিল্পগুলো  চাহিদা জানতে নিচে পড়ুন।

সেলাই শিল্প  

বাংলাদেশের ১০টি ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের তালিকা মধ্য সেলাই শিল্প অন্নতম। কুটির শিল্পে সেলাই শিল্পগুলো বাংলাদেশের ঐতিহ্য বহন করে।বর্তমানে সেলাই শিল্পের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমান যুগ অনলাইনের যুগ হওয়ায়, সেলাই শিল্পের চাহিদা দিন দিন প্রচুর পরিমাণে বেড়েই চলেছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প অর্থাৎ সেলাই শিল্প হলো সুতার মাধ্যমে বস্ত্র,লেঙ্গা, চাদর, ইত্যাদি 

বস্ত্রগুলোর উপর নকশা করা। সেলাই মূলত হাতের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে এবং বস্ত্রের নকশার উপর ভিত্তি করে। আপনি যদি বস্ত্রজাত শিল্প সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে পড়ুন।

বস্ত্রশিল্প

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের তালিকার মধ্য বস্তশিল্প ঐতিহ্যবাহী একটি শিল্প। বাংলাদেশে যেসব বস্ত্রজাত শিল্প রয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে, 

  • লুঙ্গি
  • শাড়ি
  • তোয়াল 
  • গামছা
  • ধুতি
  • মশাড়ি ইত্যাদি 

যেসব প্রায় প্রতিটি মানুষের নিত্যদিনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও রয়েছে উন্নতমানের মসলিন,জামদানী, টাঙ্গাইলের শাড়ি,পাবনার শাড়ি, রেশমবস্ত্র,কাতান, খদ্দর বস্ত্র যাহা দেশের চাহিদা পূরণ করেও বিশ্ব বাজারে 

স্থান দখল করে আছে। বস্ত্রশিল্প বর্তমানে ই-কমার্সের মাধ্যমে প্রতিনিয়তই এগিয়ে জাচ্ছে। ই-কমার্সের মাধ্যমে সহজেই পণ্য সঠিক সময়ে হাতের মুঠোয় পাওয়া যাচ্ছে। তাই বর্তমানে বস্ত্রশিল্পের প্রতি কুটির শিল্পের কারিগররা অনেকটাই আশাবাদী। কেননা পরিশ্রমের সঠিক মূল্যটাই তারা পাচ্ছে।

বাঁশ ও বেত শিল্প

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প হিসাবে মানুষ তার দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য বাঁশ ও বেত শিল্প ব্যবহার করে থাকে। এই শিল্পের মাধ্যমে 

  • বেড়া
  • চাটাই
  • মাছ ধরার ফাঁদ
  • হাত পাখা
  • মোরা
  • ফুলদানি
  • ছাইদানি ইত্যাদি 

ব্যবহারের জন্য তৈরী করা হয়ে থাকে। যা পরিবারের চাহিদা পূরণ করেও গ্রাম গঞ্জের বাজারেও বিক্রি করে অর্থ অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ  ইনকাম করা যায়। বেতের মোরা সৌখিনতা 

মানুষদের অনেক প্রিয়। প্রায় অনেকেই রয়েছেন যারা প্লাস্টিকের পণ্যর চেয়ে বেতের পণ্য ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করে থাকেন।  বেতের পণ্য দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি অনেকটা আরাম দায়ক হয়। বাঁশ দিয়ে অনেক কিছু তৈরী করা যায় বলে বাঁশের দামের পরিমানটাও অনেক বেশি হয়ে থাকে।  

শীতলপাটি শিল্প

শীতলপাটি শিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি শিল্প। শীতলপাটি শিল্পটি প্রতিটি গ্রাম বাংলার প্রকৃতি, রূপ ও সৌখিনতা কে যেন স্ব-যত্নে ধরে রেখেছে। নিজেদের চাহিদা পূরণ করেও বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে সৌখিন প্রিয় মানুষদের৷ শীতলপাটি এখন দেশের বিভিন্ন জেলাতেই পাওয়া যায়। কেননা কুটির শিল্পের পণ্য শুধু নিজের ব্যবহারের জন্য রেখেও ভালো দাম পাওয়াতে বাজারেও বিক্রয় করা যায়।

নকশিকাঁথা শিল্প

বাংলাদেশের ১০টি ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের তালিকার মধ্য নকঁশিকাথা শিল্প শুধু বর্তমান নয়, সেই প্রাচীণ কাল থেকেই নকঁশিকাথা তৈরী হয়ে আসছে এবং এর ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। বর্তমানে নকঁশিকাথা একটি লাভ জনক ব্যবসাতে পরিনিত হয়েছে।আমাদের দেশে তিন ধরনের কাথা তৈরী হয়- পাইড় কাঁথা,মাটিকাঁথা,বিচিত্রকাঁথা। পরিবারের চাহিদা পূরণ করেও তৈরীকৃত 

নকশিকাঁথা  অনেক  বেশি  দামে  বিক্রি  করা  যায়।বাংলাদেশের প্রায় অনেক মানুষ বিশেষ করে গ্রামের নারীরা এই কাজের সাথে বেশি সম্পৃক্ত। আমাদের দেশের নারীরা বর্তমানে  নকশিকাঁথা  নিয়ে অনেকটা আশাবাদী।  কেননা অনলাইনের বিভিন্ন উদ্দ্যেক্তা হয়ে কন্টেন্ট তৈরীর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচার করছে। প্রচারের ফলে দিন দিন মানুষের চাহিদা বাড়ছে। কেননা অনলাইনে অর্ডার করলে উদ্দ্যেক্তারা পণ্য  সহজেই  মানুষের  দ্বারে  পৌঁছিয়ে দিচ্ছে।

পাটজাত শিল্প

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে পাটকে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলা হয়।  পাটজাত পণ্য অত্যান্ত সুন্দর এবং সাবলীল হয়। পাট দিয়ে অনেক কিছু বানানো হয় যেমন- ব্যাগ,সিকা,কার্পেট,হ্যান্ড ব্যাগ,টেবিল ম্যাট,শতরঞ্জি ইত্যাদি। এসব পণ্য পারিবারিক ভাবে তৈরী করে বিক্রয় করে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। আমাদের দেশের অনেক মানুষ এই পাটজাত পণ্য পারিবারিক ভালো তৈরী করছে এবং বাজারে বিক্রি করছে।

কাঁসা ও পিতল শিল্প

বাংলাদেশের বিভিন্ন যায়গাতে কাঁসা পিতল তৈরী করা হয়। যা দেশের সব জেলাগুলো তে সরবরাহ করা হয়। কাঁসা পিতল মূলত ঢাকার ধামরাই,সাভার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ,জামালপুরের ইসলাম পুর,টাঙ্গাইল, রংপুর,শরিয়তপুর, ইত্যাদি আরো অনেক যায়গাতে তৈরী হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবস্থা সম্পর্ণ এবং সৌখিনতা মানুষ এসব ব্যবহার করে থাকে।

গহনা শিল্প

বাংলাদেশসহ পৃথীবির প্রায় সব দেশের নারীরা গহনা পছন্দ করে থাকেন। আর এসব গহনা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, কানপাশা, ঝুমকা, নবরত্ন, নথ, ফুরফুরি ইত্যাদি। আপনি চাইলে গহনা ছোটো পরিসরে পারিবারিক ভাবেও তৈরী করা করতে পরবেন। প্রায় অনেকেই রয়েছেন যারা পারিবারিক ভাবে এসব গহনা তৈরী করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। যা ফলে এই শিল্প থেকে মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মধ্য আপনি চাইলে গহণা শিল্প গড়ে তুলতে পারেন স্বল্প পরিসরে।

মৃৎ শিল্প

মৃৎ শব্দের অর্থ মাটি। আর এই মাটি দিয়েই তৈরী হয় বিভিন্ন,পুতুল, পাড়ি,পাতিল,কলস,ফুলের টপ,মনশঘট ইত্যাদি। বাংলাদেশের অনেক পরিবার এই শিল্পের সাথে জরিত আছে। যেমন-সিরাজগঞ্জ,টাংগাইল,ফেনি,কুমিলা ইত্যাদি। মৃৎ শিল্প ঘুরে দাড়াচ্ছে কেননা অনলাইন প্লাটফর্ম এসে মানুষ বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরী করে প্রচার করছে। ফলে ই-কমার্স বিজনেসের  মাধ্যমে মানুষ সহজেই প্রডাক্ট হাতের মুঠোয় পাচ্ছে।

লেখকের শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির কি, কুটির শিল্পের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, কুটির শিল্পের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি। কুটির শিল্পের মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জের পরিবারগুলো সহজেই ঘুরে দাড়াতে পারবে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ইতিহাস ঐতিহ্য,সংস্কৃতি রক্ষায় এই শিল্প ধরে রাখার কোন বিকল্প নেই।  প্রতিনিয়ত চেষ্টা  করা উচিত  অল্প  পরিসরে হলেও এই শিল্প গড়ার। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url