আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৫

আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওযার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। কেননা প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন নিয়ে থাকে আমেরিকার স্কলারশিপ পাওয়ার। কিভাবে আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়া যাবে জানতে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বাংলাদেশের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীর স্বপ্ন আমেরিকার স্কলারশিপ পাওয়ার কিন্তু আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী জানে না। তাহলে চলুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নেই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে,খরচ কেমন ইত্যাদি সম্পর্কে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৫ জানতে পড়ুন

আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৫

আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৫ সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে অনুসন্ধান করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে, আশা করি আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে সহজেই জেনে নিতে পারবেন। বাংলাদেশের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন 

যারা আমেরিকায় স্কলাশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো কি সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান। আমেরিকা শুধুমাত্র শিক্ষার দিক নয় ক্ষমতার সামর্থ্য এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। আর সেজন্য জন্য আমাদের দেশের অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীর কাছে স্বপ্নের দেশ হচ্ছে আমেরিকা। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব থেকে 

কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রী স্কলার্শিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। এসব আবেদন গুলো যাচাই-বাছাই করার পর প্রতি বছর অল্প সংখ্যাক ছাত্র ছাত্রীকে সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। যারা স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ পায় তারা জীবনে ভালো কিছু করার সম্ভাবনা থাকে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমেরিকায় স্করাশিপ পাওয়ার সহজ উপায় কি? আমেরিকা স্কলারশিপ 

পাওয়ার জন্য আপনাকে নজর রাখতে হবে তাহলে আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। চলুন তাহলে নিচে জেনে নেওয়া যাক আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো নজর রাখতে হবে সে সম্পর্কে। আমেরিকার মাথামিছু আয় কত জানুন।

১.আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো থাকতে হবে

আমেরিকার মতো দেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার জন্য অবশ্যই আপনার ভালো একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা প্রয়োজন। কেননা আপনাদের যদি বেশি ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকে, তাহলে আমেরিকার মতো দেশটিতে স্কলারশিপের কাতারে সহজে দাঁড়াতে পারবেন না। তাই লক্ষ লক্ষ স্কলাশিপ প্রত্যাশীদের ভেতরে স্কলারশিপ পেতে চাইলে অবশ্যই আপনার ভালো 

একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। সর্বোচ্চ পড়াশোনার মাধ্যমে সার্টিফিকেট অর্জন করার পাশাপাশি ইংরেজিতে খুব ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ভালো সিজিপিএ থাকার পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তির সাথে বিশেষ করে যেসব ব্যক্তিরা স্কলারশিপ পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। যেগুলো তথ্য আপনাকে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বিশেষভাবে সহযোগিতা করতে পারে।

২.আপনাকে ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে

আমেরিকার স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। কেননা প্রয়োজনের সময় অনেক কিছুই হাতে নাগালে পাওয়া সম্ভব হয় না। বিশেষ করে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রেখে দিতে পারেন। বিশেষ করে প্রস্তুতি নিতে হবে কোন সময় স্কলারশিপের জন্য সার্কুলার দেয় সেই বিষয়ে তথ্য জানা। সার্কুলার প্রধানের পর পরই 

যেন আপনি আবেদন করতে পারেন। কেননা আপনি যদি প্রথমে আবেদন করেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সুনজরে থাকতে পারেন। এছাড়া পরবর্তীতে অনেকে আবেদনের পরে আবেদন করলে মূল্যায়ন নাও হতে পারে।আবার অনেক সময় দেখা গেল সার্ভার ডাউনের কারণে আপনি আবেদন করতেই পারলেন না। সেজন্য আপনার অন্তত ছয় মাস আগে থেকেই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত।

৩.IELTS/TOFEL/GRE প্রস্ততি গ্রহণ করুন

আমেরিকাতে স্কলারশিপ আবেদন করার জন্য অবশ্যই IELTS/TOFEL/GRE প্রয়োজন হয়। অনেক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন যারা সময়ের অবহেলা করেন। উদাহরণস্বরূপঃ কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন যারা ভেবে থাকেন এখনো অনেক সময় রয়েছে দেখা যায় পরবর্তী সময়ে এসে স্কলারশিপের ডেট পার হয়ে যায়। তাই আপনি সময়কে নষ্ট না করে এখনই IELTS/TOFEL/GRE প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেন।  আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা জেনে নিতে পারেন। 

৪.আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খোঁজখবর রাখতে পারেন

আপনি যে আমেরিকার যে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন পূর্ব থেকেই খোঁজখবর রাখতে পারেন। আপনি চাইলে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজখবরও নিতে পারেন কেননা আপনি চাইলেই আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স নাও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চয়েস দিতে হবে। এর ভিতরে 

যে বিশ্ববিদ্যালয়টি আপনাকে স্কলারশিপ দিবে সেখানে পড়াশোনা করতে যেতে পারেন। আপনি কোন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন, সেগুলো আগে থেকেই খোঁজখবর রাখলে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে। আর তা না হলে শেষ সময়ে এসে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক কষ্ট হবে।

৫.ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে

আমেরিকা স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য মূলত নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে আবেদন করতে হয়। তবে আবেদন করার জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে সেই কাগজপত্রগুলো আপনাকে কাছে আছে কিনা সে বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে চলুন সেগুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নেই।

  • Statment of purpose নাকম একটি রচনা লাগবে
  • রিকমেন্ডেশন লেটার লাগবে
  • IELTS/TOFEL স্কোর লাগবে
  • গ্রী কিংবা জিমেট স্কোর লাগবে

৬.আপনাকে ভালোভাবে স্টেটমেন্ট অফ পারপাস তৈরি করতে হবে

আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য Statment of purpose নামক একটি রচনার পয়োজন পরে। স্টেটমেন্ট অফ পারপাস এর মানে হচ্ছে নিজের সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করা যাকে সংক্ষেপে বলা হয়ে থাকে SOP. আপনি যদি এটি খুব ভালোভাবে তৈরি করতে পারেন তাহলে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশের ভাষাগত এবং অদক্ষতার কারণে অনেকেই স্টেটমেন্ট অফ পারপাস ভালোভাবে তৈরি করতে পারে না। 

কেউ কেউ রয়েছেন যারা অন্যর স্টেটমেন্ট অফ পারপাস দেখে হুবহু কপি করে তৈরি করেন, যা কখনোই ঠিক নয়। আপনি আইডিয়া নিয়ে তৈরি করতে পারেন তবে হুবহু কপি করার ফলে ছাত্রছাত্রীরা আমেরিকার স্কলারশিপ পাওযার সুযোগ পায় না। তাহলে চলুন স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (Statment of purpose) তৈরি করতে যে বিষয়গুলোর উপরে আপনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সেগুলো উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।

  • আপনার নিজের সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা করতে হবে
  • নিজের আগ্রহ কেমন সে সম্পর্কে লিখতে হবে
  • আপনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন সংক্ষেপে লিখতে হবে।
  • যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চাচ্ছেন সেটা কেন আপনার ভালো লাগে সে বিষয়ে লিখতে হবে।
  • আপনি কোন বিষয়ে গবেষণা করতে চাচ্ছেন কেন করতে চাচ্ছেন সংক্ষেপে লিখতে হবে।
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সম্পর্কে লিখতে হবে।
  • আপনার ভবিষ্যতে লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি সে সম্পর্কে লিখতে হবে।

৭.মানসম্মত রিকমেন্টেশন লেটার তৈরি করতে হবে

আমেরিকায় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে রিকমেন্ডেশন লেটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়ে থাকে। এই লেটারটি আপনার দেশের বিশ্ববিদ্যালয় যেকোনো একজন শিক্ষকের কাছ থেকে নিতে পারেন। তবে যিনি এই চিঠিটি লিখবেন আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে সেই চিঠিতে অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে যে, সেই ছাত্রকে তিনি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। 

ছাত্রের পড়াশোনার মান গবেষণার সামর্থ্য ও যোগ্যতা আছে কিনা এরকম অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেগুলো উল্লেখ থাকতে হবে। আমাদের দেশে রিকমেন্ডেশন লেটার নেওয়ার জন্য বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যার ফলে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রিকমেন্ডেশন লেটারের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। রিকমেন্ডেশন লেটার নেওয়ার পূর্বে 

যে বিষয়গুলোর প্রতি আপনার জানা খুবই জরুরী চলুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।আমাদের দেশের অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যারা রিকমেন্ডেশন লেটার নিজে লিখতে চান না বরং ছাত্রদের দিয়ে লিখিয়ে নেন। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা নিজের সম্পর্কে বেশি লিখে ফেলে। যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহজে বুঝতে পারে যার ফলে রিকমেন্ডেশন লেটারটি কাজে আসে না। সেজন্য আপনাকে সবসময় চেষ্টা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দ্বারা রিকমেন্ডেশন লেটার লেখে নেওয়ার জন্য।

৮.আগে থেকেই টাকা পয়সা প্রস্তুত রাখা

পড়াশোনা অবস্থায় ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা অর্জন করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ IELTS/TOFEL/GRE তে ভর্তি হতে হয়। যার ফলে ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। ধরুন আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেন, কিন্তু ভালো স্কোর হলো না, সেক্ষেত্রে আপনাকে আবারও ভর্তি হয়ে ভালো স্কোর করতে হবে। আমেরিকাতে পড়াশোনা করার জন্য IELTS/TOFEL/GRE খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভাল স্কোর করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হতে পারে। আর সেজন্য আগে থেকেই টাকা-পয়সা জমিয়ে রাখা উচিত।

৯.প্রফেসরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা

আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি হতে চাচ্ছেন সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারলে আপনার জন্য খুবই ভালো হতেই পারে। কেননা আগে থেকে যোগাযোগ রাখলে তাদেরকে সিভি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। যা স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইমেইল অথবা 

অন্য কোন মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসরের পাশাপাশি আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন কেননা আমেরিকার ভর্তি সময় বাংলাদেশী প্রফেসরদের রিকমেন্ডেশন লেটারের প্রয়োজন হয়।

১০.পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত কার্যকলাপ

আমেরিকাতে যে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেগুলো শুধুমাত্র পড়াশোনার উপরেই স্কলারশিপ দেয় না। পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত কিছু কার্যকলাপের উপরে ভিত্তি করেও স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। যেমন খেলা-ধুলা, সংগীত, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এরকম অনেক বিষয়ে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। আমি যে বিষয়ে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন সে বিষয়ে স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকাতে যেতে পারবেন।

আমেরিকাতে কেন পড়তে যাবেন ২০২৫

আমেরিকাতে কেন পড়তে যাব? এমন প্রশ্ন অনেকেরই থাকে। পূর্বে জ্ঞান লাভের জন্য চীন সব ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষ আসতো। কিন্তু বর্তমানে কালের পরিক্রমায় প্রাশ্চাত্যর আমেরিকা হয়েছে জ্ঞান বিজ্ঞানের আখড়া। শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান গবেষণাগার চর্চা করেই আনন্দিত হবেন এমনটা নয়, পরবর্তীতে ভালো চাকরি প্রার্থীর সম্ভাবনা ও থাকে। আমেরিকাতে সাধারণ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত বাৎসরিক প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার ডলার রেমুনারেশন পেয়ে থাকেন। আমেরিকাতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা সব সময় বেশি। এছাড়া তাদের বাৎসরিক বেতনের পরিমাণেও অনেকটা বেশি।        

আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫

আমেরিকায় আপনারা যারা স্কলারশিপ নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তবে অবশ্যই কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যে যোগ্যতাগুলো না থাকলে দেশটিতে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সম্ভাবনার পরিমাণ খুবই কম। কেননা দেশটি শুধুমাত্র শিক্ষার দিক দিয়ে নয় অর্থনৈতিক এবং ক্ষমতার দিক দিয়ে শক্তিশালী একটি এই দেশ। চলুন তাহলে আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতা গুলো লাগে সেগুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নেই।

  • বাংলাদেশের উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম-দশম শ্রেণী কিংবা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি থাকতে হবে।
  • বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় আমেরিকার স্কলার্শিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
  • একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড খুব ভালো থাকতে হবে
  • IELTS/TOFEL/GRE স্কোর ভালো থাকতে হবে
  • পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য আনুষঙ্গিক যে বিষয়গুলো রয়েছে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।
  • Statment of purpose ভালো মানের থাকতে হবে
  • মানসম্মত রিকমেন্ডেশন থাকতে হবে
  • আপনি কোন বিষয়ে গবেষণা করতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।

আমেরিকা স্কলারশিপ পেতে কি কি লাগে ২০২৫

আমেরিকায় স্কলারশিপ পেতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী সঠিক ধারণা রাখেন না। আরে সেজন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন। আমেরিকাতে স্কলারশিপ পেতে বেশ কিছু কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পরবে সাথে কিছু দক্ষতারও প্রয়োজন হবে। সেগুলো যদি আগে থেকেই জানতে পারেন তাহলে 

সহজেই স্কলারশিপ পেতে পারেন। আমেরিকায় স্কলারশিপ পেতে কি কি লাগে চলুন সে সম্পর্কে নিচে জেনে নেওয়া যাক।

  • আমেরিকায় স্কলারশিপ পেতে সর্বশেষে আপনি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রয়েছেন তার একটি সার্টিফিকেট লাগবে।
  • আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে একাডেমিক একটি ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। যত পয়েন্ট আপনার ভালো হবে ততো সুযোগ বেশি পাবেন।
  • IELTS/TOFEL/GRE স্কোর যত বেশি হবে ততই আপনার জন্য ভালো হবে।
  • Statment of purpose অবশ্যই বেশি ভালো হতে হবে। কেননা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই বিষয়ে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখে। আপনার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য গুলো বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকতে হবে। স্টেটমেন্ট অফ পারপাস ভালো হলে স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ থাকে।
  • আপনার রিকমেন্ডেশন লেটারটি আকর্ষণীয় হতে হবে। কেননা এখানে আপনার চারিত্রিক, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা সম্পর্কে আপনার শিক্ষক ও বিস্তারিত লিখতে লিখবেন। আর তাই এটা যত ভালো হবে আপনার স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে।

ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ কি ২০২৫

স্কলারশিপ সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের নাম শুনলেও ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ কি সে সম্পর্কে প্রায় অনেকেই জানেন না। তাহলে চলুন আজকের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ কি জেনে নেই। ফুল ফানি স্কলারশিপ বলতে আপনার পড়াশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ, থাকা খাওয়া খরচ, টিউশনি খরচ, প্লেন ভাড়া খরচ এরকম যাবতীয় খরচ গুলোকে 

স্কলারশিপ বলা হয়ে থাকে। আরো সহজ হবে যদি বলা যায় আপনি যদি বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আমেরিকাতে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার জন্য গেলে, পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত আপনার বাড়তি কোনো টাকার প্রয়োজন পড়বে না। পড়াশোনার জন্য আপনার খরচ গুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবেন।

আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার খরচ কত ২০২৫

বাংলাদেশের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন যারা আমেরিকাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়ার চেষ্টা করেন। কেননা শিক্ষার দিক দিয়ে আমেরিকা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া জীবন যাত্রার মান উন্নত তাই স্বাভাবিকভাবেই পড়াশোনার জন্য খরচের পরিমাণ একটু বেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি আমেরিকা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে 

স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে চান সেক্ষেত্রে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। যা বছর হিসাব করলে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ ডলার পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। আমাদের দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য এই খরচ খুবই কষ্টকর। তবে আমেরিকা থেকে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেখানে খরচের পরিমাণটা কম। এছাড়া স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারলে খরচের পরিমাণ আরো কম পড়বে।

আমেরিকা উচ্চ শিক্ষা ও চাকরি ২০২৫ 

আমেরিকাতে আপনি উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি পার্ট টাইম হিসাবে ছোটো খাটো জব করতে পারবেন। আপনি যদি মনে করেন পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু টাকা ইনকাম করবো তাহলে জব করতে পারেন। আমেরিকা দেশটি উন্নত হওয়ার ফলে পার্ট টাইম জব পাওয়া যায় সেগুলো পড়াশুনার পাশাপাশি করতে পারবেন। জব করি খুব বেশি টাকা ইনকাম না করতে পারলেও পড়াশোনার খরচ আপনার মোটামুটি ভাবে চলে যেতে পারে।

আমেরিকায় কি 100% স্কলারশিপ পাওয়া যায় ২০২৫

আমেরিকাতে 100% স্কলারশিপ পাওয়া যায় কিনা এমন প্রশ্ন অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী করে থাকেন। হ্যাঁ আমেরিকাতে 100% স্কলারশিপ পাওয়া যায় যাকে বলা হয়ে থাকে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ। তবে এই ধরনের স্কলারশিপের সংখ্যা খুবই কম হয়ে থাকে। এ ধরনের স্কলারশিপ গুলো পাওয়ার জন্য খুব ভালো ভাগ্যবান হতে হয়। তবে এই স্কলারশিপ গুলো পাওয়ার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে তাহলে আপনি আমেরিকাতে ১০০% স্কলারশিপ পেলেও পেতে পারেন।

আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়া কি সহজ ২০২৫

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্কলারশিপ পাওয়া কোনভাবেই সহজ নয়। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে পরিমাণ স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে তার চেয়ে লক্ষ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে। সেখান থেকে আবেদনগুলো যাচাই-বাঁচাই করে কয়েকজনকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি আমেরিকার স্কলারশিপ পেতে চান আপনার একাডেমি ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো থাকতে হবে এবং ভালো স্কোর থাকতে হবে।

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ কিভাবে পাবেন ২০২৫

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে সময়মতো সঠিক সময়ে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে IELTS/TOFEL/GRE স্কোর বেশি পরিমাণ থাকতে হবে। ইংরেজিতে অনেক বেশি পারদর্শী হতে হবে। এছাড়াও ভালো মানের স্টেটমেন্ট অফ পারপাস থাকতে হবে। আপনারা আকর্ষণীয় রেকমেন্ডেশন লেটার থাকতে হবে। একাডেমিক রেজাল্ট খুবই ভালো থাকতে হবে। আগে আগে আবেদন করার চেষ্টা করতে হবে তাহলে স্কলারশিপ পাওয়া যেতে পারে।

সাধারণ শিক্ষার্থী কি আমেরিকায় এমএসএস করতে পারবে ২০২৫ 

একজন সাধারণ শিক্ষার্থী অবশ্যই আমেরিকাতে এমএসএস(MSS) করতে পারবে। তবে অবশ্যই একাডেমিক ফলাফল ভালো থাকতে হবে। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই এমএসএস(MSS) করার জন্য যে জিনিসপত্রগুলো প্রয়োজন সেগুলো যদি থাকে, তাহলে অবশ্যই আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমএসএস করতে পারবেন।

আমেরিকায় এমএসএস (MSS) বয়সসীমা কত ২০২৫

আমেরিকাতে এমএসএস করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো বযসের প্রয়োজন নেই। আপরি যে কোন বয়সের এই কোর্সটি আমেরিকাতে গিয়ে করতে পারবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো প্রস্তুত রাখতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে এই সময় মত ভর্তি হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তাহলে যেকোনো বযসে আমেরিকাতে আপনি এসএমএস করতে পারবেন।

আমেরিকায় পড়াশোনা করে কি চাকরি করা যায় ২০২৫

আমেরিকাতে পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি চাকরি করতে পারবেন। আমেরিকায় এমন একটি দেশ যেখানে খুব সহজেই পার্ট টাইম জব পেতে পারেন। আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের খরচ বা পড়াশোনার খরচ চালাতে চান তাহলে পার্টটাইম জব করতে পারবেন। তবে আমেরিকাতে চাকরি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষ এবং পরিশ্রমী হতে হবে।

যেসব দেশ স্কলারশিপ দিচ্ছে ২০২৫

বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২৫ সালে বিদেশে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছেন। এই স্কলারশিপ গুলোর মাধ্যমে বিদেশে উচ্চশিক্ষা টিউশন ফি, বসবাসের খরচ, গবেষণা এবং অন্যান্য সুবিধাগুলো প্রদান করে থাকবে।  তাহলে চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক কোন মহাদেশের কোন দেশগুলো স্কলারশিপ দিয়েছে। 
ইউরোপঃ
  • ইরাসমাস মুন্ডুস - ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশগুলোতে মাস্টার্স এবং পিআইডি প্রোগ্রামের জন্য ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে।  
  • জার্মানি - DAAD স্কলারশিপ প্রোগ্রাম বিনামূল্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে থাকেন। 
  • ফিনল্যান্ড - ফিনিস সরকারি স্কলারশিপ যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সহজেই উন্মুক্ত থাকে।
  • সুইডেন - সুইডেন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম আন্তর্জাতিক যেসব শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। 
এশিয়াঃ
  • জাপান - mext স্করারশিপ পোগ্রাম সম্পূর্ণ ফ্রি উচ্চ শিক্ষার জন্য জনপ্রিয় একটি প্রোগ্রাম।
  • চীন - চায়না গভার্নমেন্ট স্কলারশিপ (CSC) বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার জন্য বিশেষভাবে উপলব্ধ।
  • দক্ষিণ কোরিয়া - উচ্চ শিক্ষার জন্য শীর্ষ স্থানীয় স্কলারশিপ হচ্ছে গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ (GKS) 

উত্তর আমেরিকাঃ 

যুক্তরাষ্ট্র - ফুলব্রাইট স্কলারশিপ যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক প্রোগ্রাম যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
কানাডা - উচ্চ শিক্ষার জন্য ভ্যানিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম সেরা। 

অস্ট্রেলিয়াঃ

  • অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ - এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কলারশিপটি সেরা স্কলারশিপ।
  • বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্কলারশিপ - অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন সিডনির মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। 

মধ্যপ্রাচ্যঃ

  • সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ প্রোগ্রাম 
  • কাতার হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটি এবং কাতার ইউনিভার্সিটি সম্পূর্ণ ফ্রি স্কলারশিপ পোগ্রাম

আফ্রিকাঃ

  • দক্ষিণ আফ্রিকাঃ NRF স্কলারশিপ পোগ্রাম যা গবেষণার জন্য প্রচুর পরিমাণে ফান্ড প্রদান করে থাকে।
  • মিশর - মিশরের স্কলারশিপ প্রোগ্রাম আল আজহার ইউনিভার্সিটি। 
  • উপরে উল্লেখিত প্রতিটি দেশের স্কলারশিপের শর্তাবলীগুলি এবং আবেদন প্রক্রিয়া ভালোভাবে জেনে নিয়ে আবেদন করতে পারেন।     

লেখকের শেষ মন্তব্য

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা সহজেই জানতে পারলেন যে, আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়, আমেরিকাতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতা গুলো লাগে, আমেরিকাতে স্কলারশিপ পেতে কি কি লাগে এবং ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ কি ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি আমেরিকায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে পুরো আর্টিকেলটি পড়েছেন এবং সহজেই বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেল দিয়ে পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে আশা করি যদি তুমি ভুলবেন না। এছাড়াও আরো কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url