কিরগিজস্তান কাজের ভিসা জেনে নিন
কিরগিজস্তান কাজের ভিসা নিয়ে আপনারা যারা দেশটিতে যেতে চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হবে। তবে বাংলাদেশীদের জন্য কিরগিজস্তানে কাজের
ভিসার কতটা সুযোগ রয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।চলুন এ সম্পর্কে নিচে
জেনে নেওয়া যাক।
কিরগিজস্তান কাজের ভিসা কখন নিয়োগ থাকে শুধুমাত্র জানতে পারবেন, বাংলাদেশে
অবস্থিত কিরগিজস্তানের দূতাবাস কিংবা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তবে দেশটিতে
যাওয়ার পূর্বে কি কি যোগ্যতা লাগে এবং বেতন কেমন সে সম্পর্কে জেনে যেতে পারেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ কিরগিজস্তান কাজের ভিসা জানতে পড়ুন
কিরগিজস্তান কাজের ভিসা
কিরগিজস্তান কাজের ভিসা সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে
থাকেন। তাই আপনাদের জানের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়লে, আশা করি কিরগিজস্তান কাজের ভিসা সম্পর্কে সহজেই জেনে নিতে পারবেন।
কিরগিজস্তান হচ্ছে মধ্য এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। কিরগিজস্তান দেশটি প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।
দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য কিরগিজস্তান
কাজের ভিসা পাওয়া একটু জটিল। তবে দেশটির কাজের ভিসা পাওয়া যাবে না এমনটা নয়।
দেশটির কাজের ভিসা না পাওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে
দেশটিতে কাজের ভিসাতে যেতে চাইলে এবং ভালো বেতন পেতে নির্দিষ্ট কাজের উপরে
দক্ষতা,
অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতা থাকতে হবে। কেননা এসব দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা না থাকলে
কিরগিজস্তানে কাজের ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। তাই আপনারা যারা দেশটিতে
যেতে চাচ্ছেন, অবশ্যই যে কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন সেই কাজের উপরে দক্ষতা এবং
অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারেন। কিরগিজস্তান যাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি ক্যাটাগরির
ভিসা পাওয়া যায় সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
কিরগিজস্তান যেসব ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায়পাওয়া যায়
কিরগিজস্তান যেসব ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।
তবে কিরগিজস্তান যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা পাওয়া যায়, যে
সম্পর্কে অনেকেই ধারণা রাখেন না। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া
যাক, কিরগিজস্তান কাজের ক্ষেত্রে কি কি ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে
নিচে জেনে নেওয়া যাক।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- কোম্পানি ভিসা
- ড্রাইভিং ভিসা
- ক্লিনার ভিসা
- হোটেল এন্ড রেস্টুডেন্ট ভিসা
- কৃষি ভিসা
- ফ্যাক্টোরি ভিসা
- শ্রমিক ও লেবার ভিসা
উপরে উল্লেখিত যে কোনো একটি ভিসার মাধ্যমে আপনি কিরগিজস্তানে কাজের উদ্দেশ্যে
যেতে পারবেন। তবে আপনি যে কোন কাজের উদ্দেশ্য নিয়ে যান না কেন, যাওয়ার পূর্বে
অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারেন। কেননা দেশটিতে অভিজ্ঞতা এবং
দক্ষতাকে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। কিরগিজস্তান যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিন।
কিরগিজস্তানে কাজের ভিসায় যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
কিরগিজস্তান কাজের ভিসাতে যেতে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। যেগুলো ছাড়া
কিরগিজস্তান যাওয়া আপনার জন্য সম্ভব নাও হতে পারে। কেননা উপযুক্ত ডকুমেন্ট না
থাকলে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য পারমিশন দিতে না। তাই কিরগিজস্তান কাজের ভিসা পেতে
অবশ্যই ডকুমেন্টগুলো সঠিক থাকতে হবে। চলুন তাহলে কিরগিজস্তান কাজের ভিসাতে যেতে
যেসব যোগ্যতা লাগে নিচে জেনে নেওয়া যাক।
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট (সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়েদী)
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- কাজের অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট
- ভ্রমণ বিমান ডকুমেন্ট
- আপনার ভিসা আবেদন পত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
কিরগিজস্তান কাজের ভিসাতে যাওয়ার জন্য উপরে উল্লেখিত যোগ্যতা গুলো লাগবে। তাই
দেশটিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে যাওয়ার পূর্বে ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে
রাখতে পারেন। কিরগিজস্তান টাকার মান কত জানতে পড়ুন।
কিরগিজস্তান যেতে কত টাকা লাগে
কিরগিজস্তান যেতে কত টাকা লাগে, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ
ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি
কিরগিজস্তান কাজের ভিসায় খরচ কেমন খরচ হয় সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। আপনারা
যারা কিরগিজস্তান যেতে চাচ্ছেন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে দেশটিতে যাওয়া
যায়।
তবে এই কিরগিজস্তান যেতে কত টাকা লাগবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে ভিসা
ক্যাটাগরির উপরে। তাহলে চলুন দেশটিতে কাজের ভিসাতে যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে
জেনে নেওয়া যাক।
- কিরগিজস্তান কাজের ভিসাতে যেতে সর্বনিম্ন ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
- কিরগিজস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম হচ্ছে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। আপনি যদি সরকারিভাবে কিরগিজস্তান যেতে পারেন তাহলে খরচের পরিমাণ কম হবে।
- এছাড়া বেসরকারিভাবে কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে গেলে খরচের পরিমাণ বেশি হতে পারে। তবে সময়ের সাথে সাথে কিরগিজস্তান কাজের ভিসা খরচের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
কিরগিজস্তান বেতন কত
কিরগিজস্তান বেতন কত সে সম্পর্কে অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে যারা
দেশটিতে যেতে চাচ্ছেন তারা। আপনারা যারা কিরগিজস্তান যেতে চাচ্ছেন অবশ্যই বেতন
সম্পর্কে জানাটা জরুরী। কেননা একটি দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন কিন্তু বেতন কেমন
হতে পারে সে সম্পর্কে জানবেন না, সেটা কেমন হডে যায় না? তাহলে চলুন নিচে জেনে
নেওয়া যাক, কিরগিজস্তান কাজের বেতন কেমন সে সম্পর্কে।
- কাজের ধরন অনুযায়ী কিরগিজস্তানের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা।
- এছাড়া যেমব শ্রমিকদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে সেসব কর্মীদের ন্যূনতম বেতন হচ্ছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা।
কিরগিজস্তান কাজের ভিসা চেক
আপনারা যারা কিরগিজস্তান যেতে যেতে চাচ্ছেন,সেক্ষেত্রে কাজের ভিসা চেক সম্পর্কে
জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী। কেননা কাজের ভিসা চেক সম্পর্কে জানলে দালাল বা
এজেন্সি দ্বারা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। চলুন তাহলে কিভাবে ঘরে বসে
অনলাইনে মাধ্যমে চেক করবেন সে সম্পর্কে নিচে জেনে নেওয়া যাক।
- কিরগিজস্তান কাজের ভিসা চেক করার জন্য আপনাকে https://www.evisa.e-gov.kg/check_status.php এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে।
- এখন আপনি দেখতে পাবেন insert your reference number লেখার নিচে ফাঁকা ঘর। সেখানে আপনি ভিসা তৈরি করার সময় যে রেফারেন্স নাম্বার দেওয়া হয়েছিল সেটা টাইপ করতে হবে।
- এরপর "ক্যাপচাটি" দেখে ডান পাশে ফাঁকা ঘরে লিখুন।
- তারপরে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আপনাকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে Insert your Security code লেখা আসবে সেটি সঠিক ভাবে পূরণ করে দিতে হবে।
- Security code টি বের করার জন্য আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে QR & Barcode scanner অ্যাপটি ইনস্টল করতে পারেন।
- স্ক্যান করার পরে আপনি ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো দেখতে পাবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, কিরগিজস্তান দেশটিতে যাওযার জন্য যেসব
ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায়, গিরগিজস্তান কাজের ভিসা, কিরগিজস্তান যেতে যেসব
ডকুমেন্টগুলো লাগে, কিরগিজস্তান বেতন কেমন হয়ে থাকে, কিরগিজস্তান যেতে কত টাকা
খরচ হয় ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনারা যারা কিরগিজস্তান যেতে চাচ্ছেন, যাওয়ার পূর্বে
কোন ভিসার দাম কত,
কেননা সময়ের সাথে সাথে ভিসার দাম কমবেশি হতে পারে এবং বেতনের পরিমাণ কেমন সে
সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে যেতে পারেন। এছাড়াও অবশ্যই যাওয়ার আগে দক্ষতা এবং
অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাওয়া উচিত।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url